০৪৯২৫৭৫৮৮৪

lalmohanpoura1990@gmail.com

লালমোহন পৌর ভবন

লালমোহন পৌর ভবন

লালমোহন মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতি ফলক

লালমোহন মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতি ফলক

লালমোহন পৌর সুপার মার্কেট, লালমোহন, ভোলা।

লালমোহন পৌর সুপার মার্কেট, লালমোহন, ভোলা।

সজীব ওয়াজেদ জয় ডিজিটাল পার্ক, লালমোহন, ভোলা।

সজীব ওয়াজেদ জয় ডিজিটাল পার্ক, লালমোহন, ভোলা।

Welcome to লালমোহন পৌরসভা লালমোহন, ভোলা

Lalmohon Municipality | লালমোহন পৌরসভা, ভোলা

বাংলাদেশের দক্ষিণে অবস্থিত বঙ্গোপোসাগর উপকুলে বাংলাদের ব-দ্বীপ খ্যাত রেল যোগাযোগ বিছিন্ন জেলা ভোলা। এ জেলায় বয়েছে দেশের অন্যতম গ্যাস ফিল্ড শাহবাজপুর গ্যাসক্ষেত্র এ গ্যাস ফিল্ড হতে গ্যাস উত্তোলন করে বিদ্যুৎ উৎপাদন করে নিজ জেলার পাশা পাশি অন্যান্য জেলায় সরবরাহ করা হয়। জেলার অন্যতম উপজেলা লামোহন।

লালমোহনের আদি নাম ছিল মেহেরগঞ্জ। মাননীয় মেহের আলী হাওলাদারের নামানুসারে এই নাম হয়। পরে লালমোহন কুন্ডু নামে এক খাস মহল তহশীলদার সুকৌশলে মেহেরগঞ্জ মৌজার স্থলে লালমোহন মৌজা লিখে রাখেন। পরবর্তী কালে এভাবে এলাকটি লালমোহন নামে পরিচিতি লাভ করে। ৭ জানুয়ারী ১৯১৯ সালে লালমোহন থানার কার্যক্রম শুর“ হয়। ১৫ এপ্রিল ১৯৮৩ সালে লালমোহন উপজেলার জন্ম হয়। ৯টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভা নিয়ে লালমোহন উপজেলা গঠিত।

 

গঠন :

 লালমোহন পৌরসভা ৯ ডিসেম্বর ১৯৯০ সালে ৮.৭৯ বর্গ কিলোমিটার জায়গা নিয়ে ”গ” শ্রেণীর পৌরসভা হিসাবে গঠিত হয়। যাহা পরবর্তীতে ২৪ ডিসেম্বর ২০০১ সালে “খ” শ্রেনীর পৌরসভাতে উন্নতি লাভ করে। ২১ জুন, ২০০৬ সালে ”ক” শ্রেণীর পৌরসভাতে উন্নতি লাভ করে। শহরের মধ্যদিয়ে খাল বয়ে গেছে, খালের দু’পাশে শহর অবস্থিত। অপার সৌন্দর্য আর সবুজ সমারহ ভরা দক্ষিনে বঙ্গোপোসাগর, উত্তরে শাহবাজপুর নদী, পূর্বে মেঘনা, পশ্চিমে তেতুলিয়া নদী ঘেরা দ্বীপ জেলা ভোলা। এ জেলায় হিন্দু-মুসলিম সাম্প্রদায়িক সম্প্রতি ও ধর্মীয় ভাবমুর্তি অক্ষুন্ন রেখে সু-দীর্ঘ কাল যাবৎ বসবাস করছে। সামাজিক আচার অনুষ্ঠান নানা বৈচিত্রে পরিপূর্ণ। নদীতে নৌকায় পাল তুলে মাঝি গান গেয়ে মাছ ধরে। এ জেলার ধান, সুপারী, মরিচ, তরমুজ, শশা ও ইলিশ মাছ অন্যতম। লালমোহন পৌরসভা ভোলা জেলার মধ্যবর্তী স্থানে অবস্থিত হওয়ায় ব্যবসা-বানিজ্যের কেন্দ্র হিসাবে গড়ে উঠেছে। পৌর শহরের প্রান কেন্দ্রে মোল্লা জামে মসজিদ ও পৌর সুপার মার্কেট। বর্তমানে প্রায় ২১,০৮০ (একুশ হাজার আশি) জন জনসংখ্যা এই শহরে বসবাস করে এর মধ্যে হিন্দু ১৫%। শহরে  মোট ২৫.৩০ কিঃ মিঃ পাকা রাস্তা ৮.২৮ কিঃ মিঃ কাঁচা রাস্তা, পাকা ড্রেন ৩.২২৭ কিঃমিঃ, কাচা ড্রেইন৩১.৫০ কিঃমিঃ। শহরের মাঝখানে প্রায় ২.৫০ কিঃ মিঃ খাল  বয়ে গেছে।


এই শহরে আটটি হাট ও বাজার আছে, দুইটি সরকারী হাসপাতাল, ১টি পৌরসভা শপিং মল,১ সরকারী কলেজ, বেসরকারী কলেজ ২টি, কামিল মাদ্রাসা ১টি, মাধ্যমিক বিদ্যালয় ৫টি, দাখিল মাদ্রাসা ১টিকক। কেজি স্কুল ৩টি, পৌর মার্কেট ৫টি, পাবলিক টয়লেট ৮টি, কফায়ার সার্ভিস ষ্টেশন ১টি, ঈদ গাহ মাঠ ৭টি, গোরস্থান ১টি, শ্বশানঘাট ১টি, মসজিদ ৩০টি, মন্দির ২টি, পুকুর ১২৭৫টি, শিক্ষার হার ৪৮.২৮% ( ২০১১ সালের আদমশুমারী অনুযায়ী)। ৯টি ওয়ার্ডে  ৯জন পুর“ষ কাউন্সিলর, ৩ জন সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর ও ১ জন নির্বাচিত মেয়র নিয়ে পৌর পরিষদ গঠিত । নাগরিক সেবার মধ্যে রয়েছে শহর পরিষ্কার পরি”ছন্নতা করণ, সড়ক আলোকিত করণ, রাস্তাঘাট, ড্রেইন, কালভার্ট নির্মাণ ও মেরামত করা। এছাড়া পৌরসভায় পৌর এলাকার বিরোধ মিমাংসা করণ বোর্ড, জাতীয়তা সনদ, চারিত্রিক সনদ, বিবাহিত/অবিবাহিত সনদ, জন্মনিবন্ধন সনদ, শহরের দুঃস্থ জনগণকে বিনামুল্যে ঔষধ ও এ্যাম্বুলেন্স দিয়ে নাগরিক সেবা প্রদান করা হয়। বিভিন্ন দুর্যোগকালীন সময়ে বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ ও দুর্গতদের বিভিন্ন রকম সেবা প্রদান করা হয়। পৌরসভার আয়বর্ধক প্রকল্প গ্রহণ পূর্বক রাজস্ব আয় বৃদ্ধি করে নাগরিক সেবা প্রদানে আরো জোরদার করার পরিকল্পনা রয়েছে।

২০২১ সালের মধ্যে শহরের রাস্তাঘাট, পয়নিষ্কাশন আধুনিকায়ন, শিশু পার্ক নির্মাণ, ক্যাবল কার �’াপন, বিনোদন স্পট আধুনিকায়নসহ দর্শনীয় নগরী হিসাবে গড়ে তোলার পরিকল্পনা রয়েছে।


Top